ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাবমেরিন কেবল ছিঁড়ে ৩৬ দিন বিদ্যুৎবিহীন ভোলার ২ দ্বীপচর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
সাবমেরিন কেবল ছিঁড়ে ৩৬ দিন বিদ্যুৎবিহীন ভোলার ২ দ্বীপচর

ভোলা: ভোলার মদনপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন ছিঁড়ে টানা ৩৬ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এ দুইটি দ্বীপচর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত থাকলেও এখন অন্ধাকারে দিন কাটাতে হচ্ছে ওইসব এলাকার মানুষদের।

এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।

কবে নাগাত বিদ্যুৎ আসবে তাও জানেন না কেউ। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ঢাকা থেকে টেকনিক্যাল টিম এনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মদনপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। টানা ৭ মাস সেই সুবিধা পাওয়ার পর গত ২৩ জুলাই সাবমেরিনের ক্যাবল ছিঁড়ে যায়। এর পর থেকে পুরো দ্বীপ অন্ধাকারে।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে টানা ৩৬ দিন অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত দুই চরের সাত শতাধিক গ্রাহক। দিনের বেলা প্রচণ্ড রোদ আর রাতে গরমের দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পাশাপাশি পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটেছে কেমলমতি শিক্ষার্থীদের।

মদনপুর চরের বাসান্দা লুৎফর পাটোওয়ারি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের চরে বিদ্যুৎ আসবে। বহু প্রতিক্ষার পর বর্তমান সরকার আমাদের বিদ্যুতের সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু বেশি দিন সেই সুবিধা আমরা ভোগ করতে পানিনি। ক্যাবল ছিঁড়ে গিয়ে আমরা এখন আবার বিদ্যুৎ বঞ্চিত। কবে বিদ্যুৎ পাবো তাও জানি না।

মদনপুর বাজারের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ও কালিমুল্লা জানান, এতোদিন বিদ্যুৎ থাকায় আমরা ভালো ভাবেই ছিলাম। অনেকেই দোকানে ফ্রি টিভি, ফ্যান ও বাতি লাগিয়েছে। কেনা-বেচা ভালো ছিল। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা লোকসানে আছি।

গৃহিনী শানাজ বেগম বলেন, ১০ হাজার টাকা খরচ করে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি। সেই আগের মতো অবন্ধাকারেই দিন কাটাতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থী জুবায়ের ও হালিমা জানায়, আমরা রাতে পড়াশুনা করতে পারছি না। বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।

মাওলানা ইসমাইল বলেন, নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল টানা হয়। কিন্তু যেখানে সেখানে জাহাজ নোঙর দেওয়ার কারণে সেটির তার ছিঁড়ে গেছে। সিগনাল বাতি থাকলে হয়তো এমন হতো না। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবি জানাই।

ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আলতাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পেরেছি, সাবমেরিন ক্যবল ছিঁড়ে গেছে। আমরা ঢাকায় টেকনিক্যাল টিমকে খবর দিয়েছি। তাদের দিয়ে খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।