ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিভিল সার্জন অফিসে ফাইল নিয়ে কর্মচারীদের মারামারি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
সিভিল সার্জন অফিসে ফাইল নিয়ে কর্মচারীদের মারামারি! আহত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে বেসরকারি ক্লিনিক নিবন্ধন ও নবায়ন ফাইলের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে একই অফিসের সহকর্মীর আঘাতে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ডিএসআই) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে এই ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতীতে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের বেসরকারি ক্লিনিক নিবন্ধন ও নবায়ন ফাইলের সব দায়-দায়িত্ব ছিল স্টেনোগ্রাফার খলিলের। তিনি নিজের মতো ফাইলের কাগজপত্র সমাধান ও অনুমোদন করাতেন।

কিছুদিন আগে সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান ওই ফাইলের সব কাজের জন্য দাপ্তরিক আদেশের মাধ্যমে বেলাল নামে একজনের কাছে হস্তান্তর করেন। এতে সম্মানহানি হয়েছে বলে খলিল সহকর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাগের মাথায় তিনি স্টিলের স্কেল দিয়ে মহিউদ্দিন আল মাসুদের (৪৫) মাথায় আঘাত করেন। এতে মহিউদ্দিন আল মাসুদ গুরুতর আহত হন। পরে অফিসের অন্যান্য সহকর্মীদের সহায়তায় তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক নিবন্ধন ফাইল অনুমোদনের জন্য গত কয়েক মাস যাবৎ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এটার কমবেশি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ফাইলের দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে ক্ষমতা খর্ব এবং অপমান করা হয়েছে বলে খলিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান কমিটির লোকজন তাকে উস্কানি দিয়ে ক্ষিপ্ত করে তোলেন। ফলে এক পর্যায়ে খলিল রাগের মাথায় মহিউদ্দিন আল মাসুদের মাথায় আঘাত করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন আল মাসুদ বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য সিভিল সার্জন মহোদয় একটা কমিটি করছেন। সে কমিটির আমি সদস্য। খলিল মনে করেছেন, তার কাছ থেকে ফাইল হস্তান্তরে আমি জড়িত। তাই তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মাথায় আঘাত করেছেন। তবে কাজের চাপ বেশি হলেও ফাইলটির এত চাহিদা কেন?- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

অপরদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত স্টোনোগ্রাফার মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, আমার অফিসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমি হাসপাতালে রোগী দেখে আসছি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সন্ধ্যায় মৌখিকভাবে খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত ভুক্তিভোগীর খোঁজ নিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ঘটনা শুনে রোগীর অবস্থা জানতে এসেছি। আমরা যদি কোনো অভিযোগ পাই, সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।