খুলনা: দেশে কী লাগছে, ৫ টাকার তালের পাতার হাতপাখা ৬০টাকা চাচ্ছে! এটাতো আর বিদেশ থেকে আনতে হয় না, তাহলে এত দাম কেন?
খুলনার বড়বাজারের ক্লে রোডে তালের হাতপাখা কিনতে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন রূপসার রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল হক মিলন নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী ।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।
তার মতো আরও অনেকেই লোডশেডিংয়ের সময় শরীর জুড়াতে হাতপাখা কিনতে এসেছেন। তবে দাম শুনে সবারই মেজাজ গরম।
তারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও একটা তালপাখার দাম ছিল ৫-১০ টাকা। হঠ্যাৎ করেই তা ৬০ টাকা হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গরম থেকে বাঁচতে শহর-গ্রামের মানুষ হাতপাখা কিনতে দোকানে ভিড় করছেন। প্রতিটি পাখা বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা। পাখার চাহিদা বাড়ার ফলে ব্যবসায়ীরা দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। শহরের দোকানগুলোতে প্রতিদিনই পাখা ক্রেতার ভিড় দেখা যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বিদ্যুৎ একবার গেলে দীর্ঘ সময় আর আসে না। উপায়ন্তর না দেখে তারা হাতপাখা কিনছেন।
দাম বেড়েছে স্বীকার করে তালপাতার পাখা বিক্রেতা সাইফুল্লাহ বলেন, লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় হাতপাখার কদর বেড়েছে বহুগুণ। যে কারণে তালপাখা প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুলনায় দিন-রাতে সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এই লোডশেডিংকে পুঁজি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী লাগামহীনভাবে বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দাম বাড়িয়েছেন। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক চার্জার লাইট, চার্জিং ফ্যান ও আইপিএসের বিভিন্ন সামগ্রীর দাম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ও ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় সামর্থবানরা কিনছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চার্জার লাইট এবং চার্জিং ফ্যান, আইপিএস।
সরেজমিনে নগরীর হার্ডমেটাল গ্যালারি, ডাকবাংলা মোড় ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে চাহিদা অনুযায়ী ফ্যান পাচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলে অনেকেই অগ্রিম অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপনী কেন্দ্রের সাদ ইলেকট্রিকের মো. নাজমুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক চার্জার লাইট, চার্জিং ফ্যান ও আইপিএসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দামও। ক্রেতাদের চাহিদা মতো আমরা পণ্য সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছি।
তিনি বলেন, চার্জার ফ্যানের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে । ঢাকায় অর্ডার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮ , ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড