ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারে টর্চার সেল: ১১ জনের নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
কক্সবাজারে টর্চার সেল: ১১ জনের নামে মামলা

কক্সবাজার: কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের কথিত শিউলি কটেজের ‘টর্চার সেলে’ জিম্মি অবস্থা থেকে পর্যটকসহ চারজনকে উদ্ধারের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়ে হয়েছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) কক্সবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অভিযুক্ত ১১ আসামির মধ্যে আটজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন।

সোমবার ভোরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় কটেজ ব্যবসার আড়ালে টর্চার সেলে জিন্মি রাখা অবস্থায় দুই পর্যটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাইনবোর্ড বিহীন ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের ওই আবাসিক কটেজে তল্লাশি চালিয়ে নির্যাতন চালানো ও আপত্তিকর কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছুসংখ্যক উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের লাইট হাউজ এলাকায় দেড়-শতাধিক আবাসিক কটেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি কটেজে সাইনবোর্ড নেই। যেগুলোতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পাশাপাশি নারীদের আপত্তিকর কাজে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এ  ধরনের কাজে সক্রিয় রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনে কটেজ ব্যবসার আড়ালে ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের টর্চার সেল থেকে পর্যটকসহ চারজনকে উদ্ধারের ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২২
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।