ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলা শহরের কাউতলীর ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার গোসলখানা থেকে মোহাম্মদ আলী (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে মাদরাসার গোসলখানা থেকে আলীর মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহত আলী বাড়ি কাউতলী এলাকায়। তার বাবার দাবি করে বলেন, আলীকে হত্যা করা হয়েছে। দুপুরে খাবার দিতে এসে তিনি গোসলখানায় তার ছেলের মরদেহ দেখতে পান। মরদেহের পা মাটিতে ছিল।
ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে নামাজের পর তারা আলীকে খুঁজে পাচ্ছিল না। এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে গোসলখানায় আলীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে। পরে শিক্ষকদের বিষয়টি জানানো হয়। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আলীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা মাদরাসা শিক্ষক হুসাইন আহমেদ পুলিশের কাছে বলেছেন, পড়া না পারায় তিনি আলীকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। পরে বিষয়টি তাকে বুঝিয়েও দেন।
হুসাইন আহমেদ বলেন, পড়া না পারার বিষয়টি আলীর বাবাকে জানিয়েছি। দুপুরে গোসলখানায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যদি হত্যা করে থাকি তাহলে সিসি ক্যামেরাতেই সেটা ধরা পড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত করতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বাকি তথ্য দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫২ ঘণ্টা, ১৪ আগস্ট, ২০২২
এমজে