ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায়: মিশেল বাচেলেত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায়: মিশেল বাচেলেত বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাচেলেত। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাচেলেত বলেছেন, রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তারা এদেশে আবারও ফিরে আসতে পারেন।

 

এছাড়া টেকসই মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনগুলো শক্তিশালী করতে হবে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘মানবাধিকারের নতুন সীমান্ত: জলবায়ু ন্যায়বিচারের পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক বক্তৃতার আয়োজন করে বিআইআইএসএস। এ সময় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছেন, এমন তরুণ স্কলারদের মুখোমুখি হন মিশেল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, আমি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায়।  

নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তারা এদেশে আবারও ফিরে আসতে পারেন। তবে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি এখন পুরো বিশ্ব মোকাবিলা করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এই ঝুঁকি মোকাবিলায় যুবদের সম্পৃক্ত করতে জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এসডিজিতে সফলতা অর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশ চরমভাবে জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।  

বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২০ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ লোক বাস্তুচ্যুত হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খুলনা এলাকায় লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে কৃষি ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকায়ও আদিবাসী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

মিশেল বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেসিলেন্স ফান্ড, ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান ইত্যাদি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যেটা খুব প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা, বন্যা, লবণাক্ততা ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা অনেক সময় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনাও করে থাকেন। তবে সরকার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে ২০০১ সালে ৪০০ কোটি টাকার ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। পরে এই ফান্ডের অর্থ আরো বাড়ানো হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ইস্যুগুলো জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্ব পাবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাকসুদুর রহমান।

এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাচেলেত ১৪ আগস্ট চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।