ঢাকা: চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা না হলে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে চলমান চা-শ্রমিকদের ধর্মঘট নিরসনে চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের লংলা ভেলির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জু গ্বোস্বামি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে আমাদের মজুরি ১২০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই ১২০ টাকায় কোনভাবেই সংসার চালানো সম্ভব নয়। আমরা ৩০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব করেছি। আমাদের প্রস্তাব না মানা হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে।
বৈঠকে মালিক পক্ষ কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিক পক্ষ বলছে, আমরা আন্দোলন বন্ধ করলে, তারা আমাদের সাথে বসে সিধান্ত নেবেন।
তিনি আরও বলেন, মালিক পক্ষ আমাদের বর্তমান মজুরির সঙ্গে আরও ১৪ টাকা যোগ করে মোট ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ১২০ টাকা মজুরিতে জীবন ধারন করা কষ্টসাধ্য। আবার প্রতিদিন ২৩ কেজি চাপাতা তুলতে না পারলে, ১২০ টাকাও দেওয়া হয় না। একদিন কাজ না করলে রেশন কেটে নেওয়া হয়। তারা বলছে, সরকারের এবং মালিকের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকরা যে না খেয়ে মারা যাছে, সেটা কেউ বলছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা শ্রমজীবী মানুষ, কাজ করতে চাই, আন্দোলন করতে চাই না। আমরা রাষ্ট্রের কাছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করছি, কেন আমরা ন্যায্য মজুরি পাবো না? আমরা শ্রমের সঠিক মজুরি চাই। যতদিন আমরা তা পাবো না ততদিন আমরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে যাবো।
বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এবং চা বাগান মালিকদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
আরকেআর
