ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রায়পুরে হত্যার শিকার নারীর পরিচয় শনাক্ত, মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
রায়পুরে হত্যার শিকার নারীর পরিচয় শনাক্ত, মামলা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উদ্ধার অর্ধগলিত মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর গ্রামের আবুল কাশেম মজুমদারের মেয়ে লায়লা নুর নিপু (২৫)।

তিনি ওই এলাকার আরিফুর রহমান নামে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নিপু। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর চর পলোয়ান গ্রামের একটি খালপাড়ে থাকা সুপারী বাগান থেকে তার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতে বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আবুল কাশেম জানান, প্রায় ৫-৬ বছর আগে তার মেয়ে নিপুর বিয়ে হয়। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তাদের কোনো সন্তান নেই। নিপু তার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তিনি চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর বাজারের একটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা রায়পুর থানায় এসে সেটি নিপুর বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদি হয়ে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

নিপুর বাবা বলেন, অজ্ঞাত লোকেরা আমার মেয়েকে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসান জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ভিকটিম নারীর বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রায়পুর উপজেলার একটি সুপারী বাগান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং পাশে একটি ব্লেড পাওয়া যায়। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২ 
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।