ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ও দর্শন প্রতিষ্ঠিত হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ও দর্শন প্রতিষ্ঠিত হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে

ঢাকা : সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানবকল্যাণ, সমাজকল্যাণ, বাঙালির জয়যাত্রা এবং সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে অন্যতম উপাদান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির অসমাপ্ত কাজ ও দর্শন প্রতিষ্ঠিত হবে তার তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘আগস্ট : শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় সভাপতিত্বও করেন পীযূষ।

তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি বঙ্গবন্ধু লালন করতেন তার জীবনাচারে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে ধারণ করে পথ চলা শুরু করেছে এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশের এই পথ চলা ততদিন পর্যন্ত চলবে, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শতভাগ অসাম্প্রদায়িক না করা যাবে। বাংলাদেশের সমাজে সাম্প্রদায়িকতার, ভাতৃত্বের, সকল প্রকার বৈষম্যের শত্রুকে উপরে ফেলে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রীতি বাংলাদেশ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির সমাজ গঠনের মাধ্যমেই শোধ হবে পিতৃঋণ।

এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এবং দর্শন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে শহীদ জায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুসরণ না করতে পারলে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে বাহাত্তরের সংবিধানে বর্ণিত ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে যে অপশক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবিরত ষড়যন্ত্র করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে দল, মত, ধর্ম-বর্ণ ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শহীদ ডা. আলিম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী আরও বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো সংগঠনের পাশে সব অসাম্প্রদায়িক সংগঠন এবং মানুষের শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল সূচনা বক্তব্যে বলেন, সিলেট অঞ্চল সম্প্রীতির পীঠস্থান। শত শত বছর ধরে এই অঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে শ্রদ্ধাশীল। সিলেটের সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত দেশে বিদেশে সবখানেই সুপরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রীতি বাংলাদেশের কার্যপরিধি সিলেটের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে পারাটা সংগঠনের জন্যে একটি বিশাল প্রাপ্তি হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের ছায়াতলে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

বাংলাদেশ সময় : ০০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।