ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সুরক্ষিত স্তরে আছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
‘মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সুরক্ষিত স্তরে আছে’

রাজশাহী: ‘করোনার কারণে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিশ্ব প্রতিবেদনে এখন বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে। পরপর তিনবার বাংলাদেশ মানব পাচার সংক্রান্ত বিশ্ব প্রতিবেদনে তার এ অবস্থান সুরক্ষিত করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সরকারের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের সব কর্মকাণ্ড সমন্বয় ও নেতৃত্ব প্রদান করে চলেছে। ’

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ বাস্তবায়ন ও হালনাগাদকরণ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) একেএম মুখলেছুর রহমান এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৩ হাজার আইন রয়েছে কিন্তু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন-২০১২ কে। আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ ও সমস্যার কারণে মানুষ পাচারকারীদের সহজ লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হচ্ছে, তা নিরসনেও কার্যকর কর্মসূচির প্রয়োজন। এ বিবেচনা থেকেই বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১২-২২ প্রণয়ন করেছে। এটি এমন একটি অনন্য দলিল যাতে সব ধরনের মানব পাচারবিরোধী কর্মকাণ্ডের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।  

মুখলেছুর রহমান বলেন, এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের বিভিন্ন টার্গেট পূরণ করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আমাদের ভালো করতে হলে মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি মানব পাচারকে আধুনিক দাসত্ব এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে জেলা, উপজেলা-ইউনিয়ন মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় হওয়া ও অন্যান্য সরকারি দফতর, বেসরকারি সংস্থা-প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২২ এর নির্দেশনাগুলো মেনে চলারও নির্দেশ দেন।  

ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ফাইট ভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস (এফএসটিআইপি) অ্যাকটিভিটির কারিগরি সহযোগিতায় জন নিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধানে আজ হোটেল এক্সে এ কর্মশালা হয়। সভাপতি হিসেবে কর্মশালা পরিচালনা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এফএসটিআইপি'র অ্যাকটিভিটি’র চিফ অব পার্টি মিস লিসবেথ জোনাভেল্ড। একটি বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।

পরে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা একটি ওয়ার্কিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।