নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্তকে কোতালের বাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, কিশোরীর খালা বাদী হয়ে আজ ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের দায়ের করেন।
মামলার বাদী জানান, মা-বাবা হারানো কিশোরী তার বড় খালার সঙ্গে থাকতো। গত এক মাস আগে কিশোরী ফতুল্লায় ভাড়ায় বসবাস করা ছোট খালার (বাদীর) বাড়িতে আসে সে। বাদী ও তার স্বামী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। অভিযুক্ত সপরিবারে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল। চলতি মাসের ২২ তারিখ সকাল ৮টার দিকে কিশোরীকে বাসায় রেখে বাদী তার স্বামী নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। দুপুর তিনটার দিকে অভিযুক্ত রিপন ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে কিশোরীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরী চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত রিপন দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে আটক করতে তার পিছু নেয় আশপাশের লোকজন।
পরে কিশোরী লোক লজ্জার ভয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা করে। কিশোরীর গোঙানির শব্দ পেয়ে পাশের ভাড়াটিয়া সাজু তা দেখতে পেয়ে কিশোরীকে নিচে নামিয়ে এনে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে রাতে বাসায় নিয়ে এলে বাড়িওয়ালা মহিউদ্দিন ও ভাড়াটিয়া দুলাল কন্ট্রাকটার বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলেন এবং তারাই তা মীমাংসা করার জন্য তাদেরকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন গিয়াস জানান, মামলার প্রধান আসামি রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এমআরপি/এএটি