ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের বাজেয়াপ্ত জমির সীমানা পুননির্ধারণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের বাজেয়াপ্ত জমির সীমানা পুননির্ধারণ

চাঁদপুর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর বাজেয়াপ্তকৃত এবং সরকারি দখলে থাকা সম্পত্তিতে (ভূমি) আবার নতুন করে সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

চাঁদপুরের আদালত কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা এসব জমি শিগগিরই কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান মানিক।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামের উকিল বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক পুনরায় সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

এর আগে ২০১৪ সালে স্থাপন করা সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলামের নির্দেশনায় নতুন করে সীমানা পিলার স্থাপন ও বাঁশের খুঁটিতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৪.০০.০০০০.০৭৪.০৬.০৫৫.০৯-৭৮৩ ও ৪৪.০০.০০০০.০৭৪.০৬.০৫৫.০৯-৭৮৪ স্মারক এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মোকাদ্দমা নং ২২/২০১৩-২০১৪ আদেশমূলে ওই ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী মৌজার সাবেক ২৪৬, হাল ৯৭ দাগে রাশেদ চৌধুরীর মোট ১১৫ শতাংশ ভূমি সরকার ১নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে।

এর মধ্যে ১১৭২ দাগে ২৮ শতাংশ, ৩৯৩ দাগে ১২ শতাংশ ও ১৪১ দাগে ৭৫ শতাংশ খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে উপজেলা প্রশাসন রাশেদ চৌধুরীর ওই সম্পত্তি সরকারি দখলে নিয়ে সীমানা পিলার স্থাপন ও সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।  

আগের সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপেজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বুধবার (৩১ আগস্ট) নতুন করে সীমানা পিলার স্থাপন ও সাইনবোর্ড টানান।  

রাশেদ চৌধুরীর হাতে হত্যার শিকার স্থানীয় প্রভাবশালী বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী মাস্টারের ছেলে আহসান হাবিব বলেন, রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ১৯৭৪ সালে আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেনীতে তার মৃতদেহ ফেলে দেয়। চারদিন পর আমরা সেই মৃতদেহের সন্ধান পাই। ওই ঘটনায় মামলা করলে সে জেল হাজতে যায়। পরে তিন মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিনে এসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় অংশ নেয় সে।

স্থানীয়রা জানান, রাশেদরা আট ভাই ও এক বোন।

পুনরায় সীমানা নির্ধারণকালে উপেজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কানুনগো মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, সার্ভেয়ার মো. কাজল মিয়া, নাজির মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মোল্লা টিটুসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।