ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আধুনিক গ্রাম উন্নয়নে প্রযুক্তির উন্মুক্ত জানালায় প্রবেশ অপরিহার্য 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
আধুনিক গ্রাম উন্নয়নে প্রযুক্তির উন্মুক্ত জানালায় প্রবেশ অপরিহার্য 

ঢাকা: আধুনিক গ্রাম উন্নয়নে প্রযুক্তির উন্মুক্ত জানালায় প্রবেশের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামীণ জনপদে নিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে গ্রামে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (৩ সেপ্টম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশন উপলক্ষে আইডিইবি ও এটুআই যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট ভিলেজ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আধুনিক গ্রাম উন্নয়নে প্রযুক্তির উন্মুক্ত জানালায় প্রবেশের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামীণ জনপদে নিয়ে যেতে হবে। অঞ্চলভিত্তিক গ্রামীণ সংস্কৃতি ও জীবনমানকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করাটাই এক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। গ্রামাঞ্চলে শহরের সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে সুশিক্ষার পরিবেশ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, গ্রামীণ যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এছাড়া সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য নির্মূল, সব স্তরে শিক্ষারমান বৃদ্ধি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা রেখে পরিকল্পিত গ্রামীণ জনপদ নির্মাণে সরকারকে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে।

প্রধান আলোচক আইডিইবির রিসার্চ ফেলো মো. এনামুল হক বলেন, স্মার্ট ভিলেজ গড়তে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে নিতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল কাজে লাগিয়ে সব সেবা ডিজিটাইজেশন করতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত বাড়িঘর নির্মাণ না করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে মনোযোগ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে একটি গ্রাম একটি শহর করার কথা বলেছেন। সেখানে গবেষণা প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কিছু অনুশাসনও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, কৃষি জমির অপচয় রোধ ও জৈব পদার্থ বৃদ্ধিকল্পে সমবায়ভিত্তিক ভবন নির্মাণ বিষয়ক প্রকল্প দেশের তিনটি স্থানে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণের কথা হয়েছে। যা গবেষণা প্রকল্প হিসেবে প্রথমে দেশের ৭টি বিভাগের ৭টি এলাকায় বাস্তবায়ন করতে হবে।  

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো হলো- প্রকল্পের ভবনগুলোর ৬ তলার পরিবর্তে ৪ তলা করতে হবে যেন সব বয়সের লোক উঠা-নামা করতে পারে। ভবনগুলো হবে পাশাপাশি। ভবনে ফ্ল্যাট ছাদের পরিবর্তে খাড়া ছাদ হবে। ভবনে দরজা ও জানালায় পর্যন্ত আলো, বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সামনে টানা বারান্দা আর পেছনে কাপড় শুকানোর বারান্দা থাকবে। ফ্ল্যাট বাড়িগুলো সমবায়ভিত্তিক হবে। প্রকল্পের আওতায় আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ড হতে যে আয় হবে তার কিছু অংশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হবে।

আরও বলা হয়েছে, আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় প্রামীণ আবাসনের ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমবায়ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় গবাদিপশু খামার, হাঁস-মুরগির খামার, মৎস্য চাষ, শাক-সবজি আবাদের সুযোগ থাকতে হবে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে অর্জিত মুনাফা সব সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিষয়ের ওপর পেপার উপস্থাপন করেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার সাবেক মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন ও আইডিইবির রিসার্চ ফেলো মো. এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।