ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উদ্বোধনের আগেই রানীগঞ্জে কুশিয়ারা সেতুর অ্যাপ্রোচে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
উদ্বোধনের আগেই রানীগঞ্জে কুশিয়ারা সেতুর অ্যাপ্রোচে ধস

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর ওপর নব র্নিমিত রাণীগঞ্জ সেতুটির কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে এরই মধ্যে সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়কে ধস দেখা দিয়েছে।

 

কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন করার কথা শোনা গেলে অ্যাপ্রোচে ধসের কারণে আবারও পিছিয়ে যেতে পারে উদ্বোধন। এ কারণে আবারও জনমনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।  

সেতুটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হলেও এখন লাইটিং ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ চলছে।

সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় এই সেতুটি যখন উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে ঠিক তখনই সেতুটির উত্তর পাড়ের বিভিন্ন স্হানে অ্যাপ্রোচ সড়কটি ধসে যায়। এছাড়াও সড়কের কোনো কোনো স্হানে দেবে যাচ্ছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় এই সেতুটির অ্যপ্রোচে বড় ধস দেখা দেয়। কিন্তু যান চলাচলের আগেই সেতুর সংযোগ সড়কে ধস দেখা দেওয়ায় এখন বৃহৎ এই সেতুর কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  

সুনামগঞ্জ জেলা ও নিকটবর্তী সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন সেতুটি দেখতে আসা অনেকেই জানান, কাজের সঠিক তদারকি না থাকায় অ্যাপ্রোচ সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করেছে। ফলে যানবাহন চলাচলের আগেই অ্যাপ্রোচ সড়কটিতে ধস দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা নদীর ওপর রাণীগঞ্জ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।  

আর সেতুটির সংযোগ সড়ক তথা অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে গেলেও ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের সব টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সেতুটি উদ্বোধনের আগেই অ্যাপ্রোচ সড়কটির বিভিন্ন স্হানে ধসে পড়ছে। ধসে পড়া অ্যাপ্রোচ সড়কটি এখনো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।  

জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জের এই সেতুটিতে গাড়ি চলাচল শুরু হলে ঢাকার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার দূরত্ব কমে যাবে। এই সেতু চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা।  

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল কদ্দুস মিয়া বলেন, আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন রাণীগঞ্জ সেতুটি নির্মাণ হলে জগন্নাথপুর উপজেলা আরও উন্নত হবে। এখানে অ্যাপ্রোচে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তাই অ্যাপ্রোচ ধসে গেছ।  
 
কাজের তদারকিতে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মাসুম আহমদ জানান, ধসে যাওয়া অ্যাপ্রোচ সড়কটি মেরামতের জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর তমা কনস্ট্রাকশনকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই রাস্তাটি মেরামত করা হবে। তবে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

অ্যাপ্রোচে ধসের ব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ জেলা জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং কে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।