ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা

চুয়াডাঙ্গা: প্রতি বছরের মতো এবারও চুয়াডাঙ্গার দর্শনার পারকৃষ্ণপুরে ঐতিহ্যের ধারা হিসেবে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি দেখতে নদীর দুই তীরে জমায়েত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাথাভাঙ্গা নদীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে প্রতিবছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ১৯৬২ সাল থেকে এটি নিয়মিত করা হচ্ছে। গ্রামের প্রাচীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এটির আয়োজন করা হয়।

পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পার মঞ্চে এবং গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আয়ুব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগর টগর। তিনি বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির শেকড়ের কথা বলে। নৌকাবাইচ লোকজ ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ। এ যেন মহাউৎসব। যেখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান নদীর দুইপাড়ে জড়ো হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশী। আমাদের দেশ নদী মাতৃক দেশ। বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা, আর আজ আমরা সেই ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ খেলা উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ এখানে একত্রিত হয়েছি। প্রতিবছর এ গ্রামের কিছু যুবকের উদ্যোগে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা এ নৌকাবাইচ উপভোগ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। আর তারই চিত্র আজকের এই হাজারো মানুষের ঢল। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

নৌকা বাইচ খেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জিয়াবুল হকের পরিচালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-দর্শনা- জীবননগর সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ মো. শাহাবউদ্দীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষে নৌকাবাইচে প্রথম স্থান অধিকারী ভবেষ ও তার দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী বদ্দীনাথ ও তার দলের হাতে রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় গ্রামের সাতটি দল অংশ নেয়। খেলায় বিজয়ী পুরষ্কার হিসেবে প্রথম দলের জন্য ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী দলের ১০ হাজার টাকা ও তৃতীয় বিজয়ী দলের জন্য পাঁচ হাজার টাকা প্রাইজ মানি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।