টাঙ্গাইল: সরকারি অফিস ফাঁকি দিয়ে বেসরকারি স্কুলে ও প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ফিরোজ আকন্দ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া তিনি টাঙ্গাইল শহরের রেজিষ্ট্রিপাড়ার শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, ইউপি সচিবকে ম্যানেজ করে ফিরোজ আকন্দ সপ্তাহে দুইদিন দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে পুরো সপ্তাহের হাজিরা পূরণ করেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৭ জুন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও হিসাব সহকারি কাম-কম্পিউটার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১৬ জুলাই লিখিত এবং ১৭ জুলাই ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চুড়ান্ত পর্যায়ে সচিব পদে ১২ ও হিসাব সহকারি কাম-কম্পিটার পদে মো. ফিরোজ আকন্দসহ তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
রেজিষ্ট্রিপাড়ার শাহীন ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকরা জানান, ফিরোজ আকন্দ সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন স্কুলে থাকেন ও পাশেই প্রাইভেট পড়ান। স্কুলের হাজিরা খাতা দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সোমবার দুপুরে শহরের রেজিষ্ট্রিপাড়া গিয়ে ফিরোজ মিয়াকে একটি কক্ষের মধ্যে প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায়। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, ফিরোজ আকন্দের সরকারি চাকরি হলেও সেটি বাদ দিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত স্কুলে ক্লাস নেন ও প্রাইভেট পড়ান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন ফিরোজ আকন্দ।
শাহীন ক্যাডেট স্কুলের উপাধ্যক্ষ মোশাফর হোসেন মনি বলেন, ফিরোজ আকন্দ পঞ্চম শ্রেণির কিছু ক্লাস নেন। এর বাইরে কিছু জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহীনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ফিরোজ প্রতিদিনই অফিসে আসেন। সপ্তাহে দুই একদিন আসে না।
অভিযুক্ত ফিরোজ আকন্দ বলেন, দপ্তিয়র ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ভালো না। এছাড়া সারাদিন অফিসে কোনো কাজ থাকে না। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ সরকারি দায়িত্ব পালনে ফাঁকি দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এফআর