ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭৮ ভাগ কাজ শেষ, মার্চের পর চালু হতে পারে ‘লিটন চৌধুরী’ সেতু

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
৭৮ ভাগ কাজ শেষ, মার্চের পর চালু হতে পারে ‘লিটন চৌধুরী’ সেতু

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণাধীন বহুল প্রত্যাশিত 'লিটন চৌধুরী' সেতুর ৭৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।  

আগামী মার্চ মাস নাগাদ সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরপরই সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।

সেতুটি চালু হলে শিবচর উপজেলা শহরের সঙ্গে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। দূর হবে নৌপথের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। আর এ কারণেই সেতুটি এলাকার মানুষের কাছে বহুল কাঙ্ক্ষিত।

জানা গেছে, ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শিবচর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে উপজেলা সদর থেকে পৃথক করে রেখেছে আড়িয়াল খাঁ নদ। উপজেলার নিলখী, শিরুয়াইল ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন থেকে শিবচরে যাতায়াতের সহজ পথকে দুর্গম করে রেখেছে আড়িয়াল খাঁ নদ পারাপার। এ তিন ইউনিয়নের মানুষকে শিবচরে যাতায়াত করতে হলে পুরো একদিন লেগে যায়। অথচ নদী পার হলে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরুত্বে উপজেলা শহর। নদী পার হতে ট্রলারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে থাকতে হয় ঘাটে। মাত্র দুই মিনিটের নৌ-যাত্রায় ভাড়াও আদায় করা হয় যাত্রী প্রতি ২০ টাকা করে। আর সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকে নৌযান চলাচল। মানুষের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেবে 'লিটন চৌধুরী' সেতু।  

স্থানীয়রা জানান, এ সেতুটি হয়ে গেলে শিবচরের সঙ্গে আর কোনো ইউনিয়ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে না। পদ্মা সেতু যেমন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে আকাঙ্ক্ষিত, তেমনি এ তিন ইউনিয়নবাসীর কাছে 'লিটন চৌধুরী' সেতু আকাঙ্ক্ষিত!'

শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে আগামী বছরের মার্চ মাসে। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ এগিয়েছে ৭৮ ভাগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করছে। ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। এরই মধ্যে আটটি পিয়ারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। সেতুর অভাবে শিবচরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে না পারায় সব দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। 'লিটন চৌধুরী' সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

স্থানীয়রা আরও জানান, সেতুটি নির্মাণ হলে উপজেলা শহর দিয়ে রাজধানী ঢাকা, মাদারীপুরসহ অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এখানকার গ্রামের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে।

শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলীম বলেন, দ্রুত এগিয়ে চলেছে লিটন চৌধুরী সেতুর কাজ। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কও সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের মার্চের পরপরই জনসাধারণ এ সেতুর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।