ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডুবন্ত মাকে উদ্ধারে মেঘনায় ঝাঁপ, ৩ দিন পর মিললো ছেলের মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
ডুবন্ত মাকে উদ্ধারে মেঘনায় ঝাঁপ, ৩ দিন পর মিললো ছেলের মরদেহ

মুন্সীগঞ্জ: মায়ের সাথে চলন্ত লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় মিলল ছেলে নাহিদ হোসেনের (২১) লাশ। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি এলাকার মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।



নৌ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি বায়েজিদ জোনায়েদ-১ থেকে এক নারী গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনা নদীতে আকস্মিক ঝাঁপ দেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে ছেলে নাহিদ হোসেনও (২১) নদীতে ঝাঁপ দেন।

পরে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়া মা জামিরুল বেগম নিজে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নাহিদ নিখোঁজ হয়ে যান। তাকে উদ্ধারে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছিল।

গজারিয়ায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক ইজাজ আহমেদ চিশতী জানান, গত সোমবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনা নদীতে লঞ্চের ভেতর মায়ের কাছে ২০ টাকা আবদার করেন ছেলে নাহিদ। এ সময় মা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে দুষ্টুমি ও খুনসুটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছেলে নাহিদ মাকে বলে টাকা না দিলে তিনি তার গলার স্বর্ণের চেইন নিয়ে যাবেন। এতে মা অভিমান করে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মাকে বাঁচাতে সাথে সাথে নদীতে ঝাঁপ দেন নাহিদ। পরে মা সাঁতরে তীরে উঠে এলেও ছেলে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধারে তিন দিন ধরে কাজ করছিল। অবশেষে দুপুর ২টার দিকে তার লাশ গজারিয়ার হোসেন্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।