মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচরে শনিবার ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে।
শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মামুন মাদবর (২৫) নামের এক বখাটে বিয়ের মিথ্যা এফিডেভিট দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায়।
এ ঘটনার পর লাঞ্ছিত ছাত্রীটি শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, ছাত্রীটি উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের হতদরিদ্র এক জেলের ৩ সন্তানের বড় মেয়ে। সে বাখরেরকান্দি আদর্শ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।
ছাত্রীটি শনিবার সকালে ৪/৫ বান্ধবীর সাথে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুলের সামনে বাখরেরকান্দি পুরাতন বিশ্ব রোডের কাছে পৌঁছালে পাশের গ্রামের মাইক্রোচালক মামুন মাদবর একটি কোর্ট এফিডেভিটের ফটোকপি দেখিয়ে ছাত্রীটিকে স্ত্রী বলে দাবি করে ও তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মেয়েটি এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে।
পরে ছাত্রীটি এক নিকটাত্মীয়ের সাথে শিবচর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।
স্কুল ছাত্রীটি বাংলানিউজকে জানায়, ‘পাশের গ্রামের খালেক মাদবরের ছেলে মাইক্রোচালক মামুন গত একটি বছর ধরে সে আমাকে উত্যক্ত করে আসছে। কিছুদিন ধরে মামুন তার সাথে আমার বিয়ের একটি মিথ্যা কোর্ট এফিডেভিট দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। গ্রামে একবার বিচারেও এ এফিডেভিট মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরও মামুনের জন্য আমি ক্লাশে যেতে পারি না। পথে আমাকে দেখলেই অশ্লীল কথাবার্তা বলে। ’
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার বাংলানিউজকে জানান, ‘আমরা কয়েকমাস আগে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে,এফিডেভিটটি ভুয়া। মামুন মেয়েটিকে মারত্মক উত্যক্ত করে। এতে মেয়েটির লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। ’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আ. রাজ্জাক জানান, ‘দুপুরে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগপত্রের সাথে বখাটে ছেলেটির কথিত এফিডেভিটটির ফটোকপি মেয়েটি জমা দিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই মেয়েটির লেখাপড়া বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০