বাগেরহাট : বাগেরহাটের মংলা উপজেলার আলোচিত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিপাকে পড়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। বাদী মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে এ জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে মংলা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবুল কালাম ফকির এ অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
চিহ্নিত রাজাকারদের বিরুদ্ধে আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন উপজেলা চোয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর ভাই মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইজারাদার ।
মংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবুল কালাম ফকির লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে মংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আবুবক্কর সিদ্দিক ও তার আত্মীয় ডা. ওয়ালিউল্লাহ স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের বাড়িতে রাজাকার ক্যাম্প ছিল। তাদের নির্দেশে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
আবুল কালাম আরও বলেন, তাদের পরিবারের সদস্য প্রয়াত কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লার নাম ভাঙিয়ে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শেখ আব্দুর রহমান, যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেনসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লার ভাই ও মৃত ডা. ওয়ালিউল্লাহর ছেলে সুমেল সারাফাত সাংবাদিকদের কাছে তার বাবা ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বাবা কখনই রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন না। কুচক্রী মহল আমাদের হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০