ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নভেম্বর মাসজুড়ে মশা নিধন কর্মসূচি ডিএনসিসির: আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
নভেম্বর মাসজুড়ে মশা নিধন কর্মসূচি ডিএনসিসির: আতিক

ঢাকা: ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ নভেম্বর থেকে ৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ১৭তম কর্পোরেশন সভায় তিনি এসব কথা জানান।

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। মাসজুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মশা নিধনে কাজ করবেন। অসময়ে ঝড় বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাঠে কাজ করতে হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে হবে। নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোথাও পানি বা ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। ময়লা বা পানি জমে থাকলে অথবা এডিসের লার্ভার উৎস পেলে কাউন্সিলররা ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে ডিএনসিসির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করবেন। ছবি ও লোকেশন দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে।

ফুটপাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, মিরপুর দশ নম্বর গোল চত্ত্বরের মতো স্মার্ট হকার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সমগ্র ডিএনসিসি এলাকায় চালু করা হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট হকাররা বিকেল ৪টার পর থেকে ফুটপাতে বসবেন। অন্য সময় ফুটপাতে কোনো হকার বসতে পারবেন না। ফুটপাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।  

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'নগরে বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অসংখ্য হাট-বাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাট-বাজারগুলোর অনুমোদন নেই। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত বাজারগুলো ডিএনসিসি অধিগ্রহণ করে পরিচালনা করবে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে এগুলো ব্যবস্থাপনা করা হবে। হাট-বাজারগুলোর তালিকা প্রনয়ণ করে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।  

নগরের খালগুলো রক্ষায় নগরবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খালগুলো সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর থেকে আমরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের বর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগলাইন সরাসরি সারফেস ড্রেন ও খালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে। খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেওয়া যাবে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ মিয়া ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. তুহিনুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।