ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে মাধ্যমিকের পাঠক্রম পাল্টাবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০
শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে মাধ্যমিকের পাঠক্রম পাল্টাবে সরকার

ঢাকা:  যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রমে বাস্তবমুখী পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আগামী ২০১২ সাল থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তিত পাঠ্যপুস্তকে লেখাপড়া করবে শিক্ষার্থীরা ।



শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার এ তথ্য জানান।

‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় জাতীয় শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনা (নায়েম) ভবনে ‘মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ‘মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম মূল্যায়ন ও চাহিদা নিরূপণ সমীক্ষা’ নামের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ ড. উত্তম কুমার দাস।

গবেষণায় বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৫ শতাংশই মনে করেন প্রচলিত শিক্ষাক্রম বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।

এ গবেষণার সূত্র ধরেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম এখন আর যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের অনেক বিষয়েই শিক্ষার্থীদের আর আগ্রহ নেই। ’

পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল আছে এমন বিষয় পাঠ্যপুস্তকে থাকতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক এমন হতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা তা পড়ে নিজের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারে। ’

ইভটিজিং প্রতিরোধে ছাত্রদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘নারীদের প্রতি ছাত্রদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। ’

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, জঙ্গিবাদ, মানবাধিকার, স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়েও যুগপোযোগী চিন্তাচেতনাও পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

পাঠক্রমকেই শিক্ষার মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের পাঠক্রম প্রণয়নে শিক্ষার্থীদের মতামতও নেওয়া হবে। ’

২০১২ সালের শুরু থেকেই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠক্রমের বইয়ে পড়ালেখা করতে পারবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের জুনের মধ্যে পাঠক্রম প্রণয়ন করা হবে এবং ওই বছরের মধ্যেই বই ছাপানোর কাজও শেষ করা হবে। ’

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নোমান উর রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাসচিব সৈয়দ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা কামালউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।