চট্টগ্রাম : জাতীয়ভাবে ওয়ান হেলথ কমিশন গঠনের সুপারিশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ৮ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন।
‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য বাস্তবায়নে নেটওয়ার্কিং- এর প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ৮ম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, জাপান প্রভৃতি দেশের প্রায় ৩০০ বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, জীববিজ্ঞানী, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়নসহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন।
শনিবার সম্মেলনের শেষ দিনে এ কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি সুপারিশ পেশ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন রোগের প্রাদুভার্বের প্রেক্ষাপটে মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
শনিবার রাতে সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন নতুন রোগবালাই-এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন কৌশল নির্ধারণ করার অহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘যথাযথভাবে রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ল্েয পেশাজীবী, চিকিৎসাবিদ, ভেট, পরিবেশবিদসহ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মধ্যে সমন্বিত কর্মপন্থা নির্ধারণ করা জরুরি। সম্মেলনে প্রণীত সুপারিশমালা সরকারের কাছে পেশ করা হলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। ’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ সমাúনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশমালা পড়ে শোনান ‘এক বিশ্ব , এক স্বাস্থ্য’ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময় : ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০