ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হবে মাস্ক পরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হবে মাস্ক পরে

ঢাকা: মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মাস্ক পরে উপস্থিত হওয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

 

মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নকালে যথাযথভাবে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাতে নির্বিঘ্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে নিরাপদে ফিরতেতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনৈতিকদেরও জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসার পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সর্বত্র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখা এবং ওভারহেড তোরণ নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, সেদিন রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করা হবে।

এদিকে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর, উপজেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করা য়েছে।

এদিন কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স, উদ্ধার সরঞ্জাম ও অগ্নি নির্বাপন গাড়ি থাকবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও প্রয়োজনে অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।