ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তিন সংগ্রাহকের প্রদর্শনীতে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন মুদ্রা-ডাকটিকিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
তিন সংগ্রাহকের প্রদর্শনীতে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন মুদ্রা-ডাকটিকিট

ঢাকা: শখের তিন সংগ্রাহক ড. কামরুজ্জামান কায়সার, মো. রবিউল ইসলাম ও খন্দকার শাকিল হক সংগ্রহ করেছেন আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন মুদ্রা, দেশ-বিদেশের নানা সময়ের ডাকটিকিট।  

এমনকি দিয়াশলাইয়ের বক্সের ব্যতিক্রমী সংগ্রহও রয়েছে।

এসব সংগ্রহ প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য।

৪ নভেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনী কান্ত ভট্টাশালী গ্যালারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।  

এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ড. কামরুজ্জামান কায়সারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের এ প্রদর্শনী মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সংগ্রাহকদের মনের অনুভূতি কাজের ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়েছে। কেউ দিয়াশলাই বক্সও সংগ্রহ করেছেন।

‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের অনুভূতি থাকতে হবে। আজ বিশেষ দিন, সংবিধান এদিন রচিত হয়েছিলো। এই তিনজন সংগ্রাহকের অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে আড়াই হাজার বছর আগের মুদ্রা আছে, ডাকটিকিট রয়েছে, দিয়াশলাই বক্স রয়েছে। ’ 

তিনি বলেন, নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের এখানে আনতে হবে। তাদের জানাতে হবে কিভাবে সংগ্রহ করতে হয়। একসময়ের সহজ জিনিস অন্য সময় সেটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে অমূল্য হয়ে যায়। ’ 

দিয়াশলাই সংগ্রাহক খন্দকার শাকিল হক বলেন, এই আয়োজনে প্রায় আড়াই হাজার বছরের বিভিন্ন মুদ্রা প্রদর্শিত হচ্ছে।  

বসুন্ধরা গ্রুপের হেড অব ডিভিশন (অ্যাকাউন্টস) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আড়াই হাজার বছরের বিভিন্ন সময়ের মুদ্রা প্রদর্শিত হচ্ছে। সারাবিশ্বের প্রাচীন মুদ্রা যেমন আছে তেমনি ভারতবর্ষ ও বাংলার বিভিন্ন রাজত্বকালের সংগৃহীত মুদ্রা প্রদর্শিত হচ্ছে।  

‘বাংলাদেশের ব্যাংক নোটের প্রথম সিরিয়াল ও শেষ সিরিয়াল দেখতে পারবেন। ত্রুটিপূর্ণ ব্যাংক নোটগুলো দেখতে পারবেন’, জানান শখের এ মুদ্রা সংগ্রাহক।

এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও ও এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।  

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী লিগ্যাল টেন্ডার নোট, নমুনা ও স্মারক নোটের পাশাপাশি এ যাবৎ অবমুক্ত ১৮টি রৌপ্য ও স্বর্ণের স্মারক ধাতব মুদ্রা আগত দর্শনার্থীদের বিমোহিত করেছে এ প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনীটি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২  
এনবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।