ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দিন ভরা মাছিতে, রাতে উপদ্রব মশার

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
দিন ভরা মাছিতে, রাতে উপদ্রব মশার

ঢাকা: তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে মশাও বাড়তে শুরু করেছে রাজধানীতে। রাজধানীবাসী বলছেন, এখন তাদের দিনভর মাছি আর রাতভর মশার উপদ্রব সহ্য করতে হয়।

বিশেষ করে দিন কোনোমতে পার হলেও সন্ধ্যার আগে থেকে শুরু হয় মশার উপদ্রব। এছাড়া কোনো কোনো এলাকাতে ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার জন্য দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নগরীর গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, গরুর হাটের কামারপট্টি ও রাস্তার ওপর ট্রাক স্টান্ডে পানি জমে থাকে সবসময়। এছাড়া প্রতিদিনই এই এলাকার একাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কামারপট্টির মো. আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন মাছির উৎপাত আর রাতভর মশার যন্ত্রণায় এখানে টিকে থাকা দায়। আমি এখানে গরুর হাটে বহু বছর হলো কাজ করছি, কিন্তু এই এলাকা কোনো দিন একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখলাম না। মাঝেমধ্যে যতটুকু ওষুধ দেয় তাতে লাভ হয় না। আমরা গরীব মানুষ কাজ করে খাই। কাকে বলবো, বলার কিছু নাই, মশার কয়েল জ্বালিয়েই রাত কাটাই।

ওষুধ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, আমি অনেক দিন ধরে এখানে মশার স্প্রে করতে দেখি না। মাঝেমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন আসে, তাদেরকে বললে ভবন ভেঙে ফেলার কথা বলে। আর যতটুকু স্প্রে করা হয় তাতে সামান্য কিছু কাজ হলেও ততবেশি লাভ হয় না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা বন্ধ করতে পারলে মশা থেকে মুক্তি পাওয়া যেত।

এদিকে নগরীতে এডিস মশার উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত রোগী ভর্তিও হচ্ছেন গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। সিটি করপোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণে নানা কার্যক্রম চালানোর কথা বললেও নগরবাসীর অভিযোগ, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে গাবতলীর গরুর হাটের ভবনগুলোর পাশে এবং নষ্ট ট্রাকের নিচের ময়লা আবর্জনায় জমে আছে অসংখ্য মশার লাভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২ 
জিএমএম/এইচএমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।