ঢাকা: জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে শুল্ক বিষয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় এ চুক্তি সই হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ সভায় জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল এসিট্যান্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস’র খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, শুল্ক ফাঁকি রোধ, বাণিজ্য সহজীকরণ ও দু-দেশের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল এসিট্যান্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস চুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। এ চুক্তির মূল বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি। দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত করা। পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান্য স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এটা কাজ করবে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করতে পারবে। শুল্ক বিভাগের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য জাপানের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী এ মাসের শেষের দিকে জাপান যাবেন। তখন হয়তো এ চুক্তিটা স্বাক্ষরিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক, বিশেষ এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা যেন অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায় সেই বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যটাগারির পাসপোর্টধারীরা বিনা পাসপোর্টে দু-দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এতে দু-দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনীতি, বাণিজ্য সহায়তা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়:১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
জিসিজি/এমজে