ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না পেয়ে ১৮০০ চারাগাছ কাটল দুর্বৃত্তরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
চাঁদা না পেয়ে ১৮০০ চারাগাছ কাটল দুর্বৃত্তরা

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ির জায়গার ওপর নির্মিত একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়ে, আরেকটি ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ ফলজ বাগান কাটার অভিযোগ উঠেছে।  

এতে প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিক জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা।



এ সময় দুষ্কৃতিকারীরা সীমানা পিলার উত্তোলন ও তার কাটার নিয়ে যায়। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের উত্তর সবুজবাগ (অনন্ত মাস্টার) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জসিম, শাহাদাত, রাজ্জাক, শাহিন, রঞ্জু মিয়া, আল-আমিন, সালা উদ্দিনসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আটকের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার মালিক জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও এ সময় তিনি জানান।  

এদিকে চাঁদা দাবি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম, শাহাদাতের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে থানার কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের পেরাছড়া মৌজাস্থ ১২ নম্বর এলাকায় (বিজিবি সেক্টর হেডকোয়ার্টারের পাশে) ওই পাহাড়ি গ্রামবাসীর সৃজিত মিশ্র ফলজ বাগানের বিভিন্ন ফলজ গাছ করার সুবাধে দীর্ঘদিন করে চক্রটি মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে।

চক্রটি চাঁদা না পেয়ে রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে ওই বাগানে সৃজন করা গাছগুলো কেটে ফেলে। একই সঙ্গে বাগানের নির্মিত খামার ঘরে অগ্নিসংযোগ ও আরেকটি ঘর ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিক জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা।  

তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতেদর দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার পূর্বক ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। একই সঙ্গে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

১২ নভেম্বরও আমি খাগড়াছড়ি সদর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে তারা বাগানে নির্মিত একটি ঘর আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং আরেকটি ঘরে ভাঙচুর ও ঘরের টিনের বেড়াগুলো কেটে নষ্ট করে দিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাগানে বেড়ার জন্য ব্যবহৃত ১শ’টি পিলার, বেড়ার ১৭টি জিআই তারের নেট খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া বাগানে রোপন করা ৫শ’টি সুপারি চারা, ৫শ’টি পেঁপে গাছ, ৯ প্রজাতির ৩শ’টি কলা গাছ, ৫শ’টি সিটলেস লেবু গাছ কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।