শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫৪ নম্বর ভর্তাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও দপ্তরি ইমরান হোসেন বেপারীকে (২৭) কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত খলিল মাদবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পালং থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ভর্তাইসার তাইসার গ্রামের মোতালেব বেপারীর ছেলে ইমরান হোসেন বেপারী স্থানীয় ৫৪ নম্বর ভর্তাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও দপ্তরি। ইমরানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী খলিল মাদবরের পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে খলিল মাদবর ৭-৮ জন লোক নিয়ে ইমরানের ওপর হামলা করে। তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর হামলাকারীরা তার মুখে মানুষের মল মেখে দেয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার ইমরানের বাবা মোতালেব বেপারী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় খলিল মাদবরসহ ৮ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। ওই রাতেই প্রধান অভিযুক্ত খলিল মাদবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইমরান বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে খলিল মাদবরের পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু কখনো মারামারি হয়নি। খলিল মাদবর তার ছেলে ও ভাইদের নিয়ে বিদ্যালয়ের বারান্দায় আমাকে কুপিয়েছে। পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। তারপর আমাকে মানুষের মল খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে ওরা। তারা আমার মুখে মল মেখে দিয়েছে। আমার চিৎকারে আশপাশের মানুষ চলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ইমরানের বাবা মোতালেব বেপারী বলেন, খলিল আমার ছেলেকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে হামলাকারীদের বিচার চাই।
অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও দপ্তরিকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
আরএ