ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যক্ষ্মায় মৃত্যু শূন্যের কাছে আনতে কাজ করছে সরকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
যক্ষ্মায় মৃত্যু শূন্যের কাছে আনতে কাজ করছে সরকার

নোয়াখালী: আমাদের লক্ষ্য রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার একেবারে শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্যে সারাদেশের মতো সরকারের পক্ষে কাজ করছি আমরা।


 
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী জেলা ডায়াবেটিক সমিতির মিলনায়তনে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার একথা বলেন।  

তিনি বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত সংক্রামক রোগ, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষা করাতে হবে। কফ পরীক্ষায় রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত, সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে হয়।

যারা যক্ষ্মা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তাদের পরীক্ষা ও চিকিৎসার আওতায় আনা। জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এবং বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, কারাগার, এনজিও ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষ্মা চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

এসময় নাটাবের জেলা সভাপতি কাজী রফিক উল্যাহর সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক ছিলেন নোয়াখালী বক্ষব্যাধী ক্লিনিকের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবু রায়হান।

সভায় ডা. মো. আবু রায়হান বলেন, প্রতিমাসে নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি যক্ষ্মা রোগী সেবা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে করোনা মহামারিতে মারা গেছে ২৯ হাজার মানুষ অথচ যক্ষ্মা রোগে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজারের বেশি রোগী মারা গেছেন। সাধারণ মানুষ এখনো যক্ষ্মা বিষয়ে অসচেতন। পল্লী চিকিৎসা নিয়েই তারা সন্তুষ্ট থাকতে চান। তারা তথ্যের জন্য গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রতি আস্থা রাখেন। তাই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। যক্ষ্মা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।  

নাটাবের জেলা সভাপতি কাজী রফিক উল্যাহ বলেন, বসন্ত, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা এই রোগগুলো এক সময় মহামারির মতো ছিল। কিন্তু সরকারের স্বদিচ্ছা ও নাটাবের কার্যক্রমের ফলে নোয়াখালীতে এর প্রাদুর্ভাব অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোগ নিরাময়ে জনসচেতনার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে এর প্রচার ও প্রসারে গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় নাটাবের মাঠকর্মী মাসুদ হাসানসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা এবং স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।