ঢাকা: জ্বালানি সংকটের মুখে গত আগস্টে অফিস কর্ম ঘণ্টা কমিয়ে আনাসহ সময়সূচি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর নানামুখী আলোচনা সমালোচনা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা বলছেন, যে জট লেগেছে, ছাড়তে সময় লাগবে আরও।
জানা গেছে, নতুন সূচিতে অফিস কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর বিকেল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত অবদি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে অসংখ্য যাত্রী।
নতুন অফিস সূচিতে সড়কে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন আব্দুল হালিম নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যানজট নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই। ঢাকায় সড়কের তুলনায় পরিবহন বেশি। এ পরিস্থিতিতে সকাল সাতটা বা আটটায় অফিস শুরু করতে পারলে কর্ম ঘণ্টাও বেশি পাওয়া যাবে। যানজট থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। সরকারি অফিসসমূহের সময়সূচি পরিবর্তন শুধু জ্বালানি সাশ্রয়ী নয়, এটি জনভোগান্তী কমাতে সহায়ক।
জ্বালা সংকট মোকাবিলায় গত ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এর দুদিন পর অর্থাৎ ২৪ আগস্ট থেকে নির্ধারিত সময়ে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।
সরকারি অফিস সমূহের পাশাপাশি দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও জারি করেছিল সরকার। এছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
অফিস সময়সূচি পরিবর্তনের ৫৪ দিন পর দ্বিতীয় দফায় নতুন করে সকাল ৯ থেকে ৪টা পর্যন্ত অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করে সরকার। তবে যানজট থেকে মুক্তি পেতে সরকারের আগের সিদ্ধান্ত ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা চায় সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এসআর/এমজে