নীলফামারী: এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য কাতারের আটটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আল-রাইয়ান শহরের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম একটি।
কাতার প্রবাসী ওয়াশিকুর রহমান শুভ নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাঁশবাড়ি এলাকার শেখ নাজমুল হকের ছেলে। তিনি এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজে কাঠামোগত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, মধ্য দোহা থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কাতারের সর্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিপূর্ণ শহর আল-রাইয়ান। এ শহরেই অবস্থিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজে কাঠামোগত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন ওয়াশিকুর।
এ বিষয়ে ওয়াশিকুর রহমান শুভ মোবাইলে বলেন, যে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মতো খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কাজ করাটা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। এ জন্য নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। আর আমার এ অভিজ্ঞতা এবং অর্জন বাংলাদেশের তথা সৈয়দপুরে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব। এতে মেধাবীদের উৎসাহ জোগাতে সহায়তা করবে।
ওয়াশিকুরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওয়াশিকুর রহমান তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তিনি স্থানীয় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯২ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৪ সালে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে কাঠামোগত প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে দুবাই যান। সেখান থেকে ২০১০ সালে কাতার স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন ওয়াশিকুর। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এর আগে ওয়াশিকুর যুক্তরাজ্যের এটকিস ইউকে এবং এসএনসি লাভালিন কানাডার কোম্পানিসহ আমেরিকান ও ইউরোপীয় কনসালটিং ফার্মে কাঠামোগত ও ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি কাতারের লুসাই সিটিতে ওয়াটার পার্ক প্রকল্পের কাজ করছেন। যা কাতার বিশ্বকাপের ফ্যান জোন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
প্রকল্পটিতে বিশাল হোটেল-মোটেল, সমুদ্র সৈকত, বিলাসবহুল ভিলা, শপিংমল, ওয়াটার পার্ক ও থিম পার্ক রয়েছে। এখানেও হেড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন ওয়াশিকুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
এসএম