ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিকাশের দোকানের ৪ লাখ টাকা চুরি, ১২ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
বিকাশের দোকানের ৪ লাখ টাকা চুরি, ১২ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ!

রাজশাহী: রাজশাহীতে একটি বিকাশের দোকানে দিনের বেলায় ৪ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ নভেম্বর দুপুরে মহানগরের শালবাগান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এরপর ওই দিনই মামলার এজাহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার (১৯ নভেম্বর) ১২দিন অতিবাহিত হতে চললেও বাদীর সেই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ ব্যবসায়ী মাসুদ রানার (৪০) বাড়ি শহরের আসাম কলোনি এলাকায়। তিনি ওই ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলার এজাহার দেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তের কথা বলে এখনো সেই মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিনি গত ৭ নভেম্বর দুপুরে যোহরের নামাজ পড়তে পাশের মসজিদে যান। সে সময় দোকানে কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে চোরের দল তার দোকানে ঢুকে প্রায় ৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এরপর ওইদিনই বোয়ালিয়া থানায় মামলার এজাহার দিয়ে আসেন। পুলিশ প্রথমে তার অভিযোগ নেবে বলেও জানায়। কিন্তু এ পর্যন্ত ১২ দিন অতিবাহিত হতে চললেও ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। দিনেদুপুরে এমন ঘটনা ঘটলেও তদন্তের নামে মামলা নিতে গড়িমসি করছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে মাসুদ রানা মহানগরের শালবাগান মোড়ের রাজধানী মার্কেটের পাশে ‘বদরুল টেইলার্স’ নামের বিকাশের দোকানের মালিক। গত ৭ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে যোহরের নামাজ পড়ার জন্য পাশের একটি মসজিদে যান। নামাজ শেষ করে এসে দেখেন অজ্ঞাত চোর কৌশলে তার দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ৪ লাখ টাকা চুরি করেছে। আশপাশের ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করলেও তারা কিছু বলতে পারেননি।
 

মাসুদ রানা বলেন, ওই দিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ তিনি থানায় জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে গড়িমসি করছে। তার ব্যবসার মূলধন চুরি হয়ে গেছে। তিনি এখন কীভাবে ব্যবসা করবেন? তার একটাই দাবি মামলাটি গ্রহণ করে ওই দিনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। আর তার ব্যবসার টাকাগুলো উদ্ধার করে দেওয়া হোক।

বিষয়টি জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ৭ নভেম্বর ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করেন৷ এর প্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত সাপক্ষেই ওই এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে৷ এ ঘটনায় একটা ফুটেজ পেয়েছেন। তারা দোকানির বিকাশ ট্রানজেকশনও দেখেছেন৷ এছাড়া ফুটেজটি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হয়েছে৷ সব মিলিয়ে তাদের তদন্ত চলমান রয়েছে৷

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।