ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড জিয়া: হারুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড জিয়া: হারুন সিসিটিভিতে ধারণকৃত দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ছবি

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে ছিটিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হলেন আনসার আল ইসলামের মূলহোতা মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক।  

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. হারুর অর রশিদ।

তিনি বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।  

হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ সদস্যদের প্রথম চারজনের মধ্যে দুজনের চোখে মুখে তারা (জঙ্গি) স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আমরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে বিভিন্ন ধরনের চেকপোস্ট স্থাপন করেছি এবং তল্লাশিও চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ২০ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। কোর্টে ১২ জন আসামি আনা হয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে দু'জনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়, বাকি ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। সবকিছু মিলিয়ে তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের পুলিশ মহাপরিদর্শক সতর্কতা জারি করেছেন। আমরা মনে করছি, আসামিরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। আশা করছি তাদের যেকোনো সময় আমরা গ্রেফতার করতে পারবো।

আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, পুলিশের যারা সেখানে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে ডিএমপি কমিশনার এরই মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক ও তিনজন কনস্টেবল রয়েছে।

জঙ্গি আনা-নেওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার না থাকার কারণেই কি জঙ্গিরা এমন সুযোগ কাজে লাগিয়েছে? এ ঘটনার পুনরাবৃত্ত না হওয়ার বিষয়ে আপনারা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গি আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রটেকশন থাকে। এর মধ্যে গতকাল একটি ঘটনা ঘটছে এখানে অবহেলা কারণেই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, কোর্ট এলাকায় টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং জঙ্গি আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রটেকশন রয়েছে।

ডিএমপির প্রতিটি এলাকায় টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি মোড়ে, অলি-গলিতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হবে। এ মামলায় যে ২০ জন আসামি রয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশনার মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন, কোর্ট এলাকায় যাতে আরো বেশি পরিমাণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোর্টে জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এসজেএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।