দিনাজপুর: কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম দুই ভেন্যু ‘লুসাইল’ এবং ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাসুদ রানা।
জানা গেছে, এ দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে সরাসরি জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে আসা-যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন মাসুদ।
কাতারে তাকে হারুনুর রশীদ নামে চেনেন প্রবাসীরা । ঘোড়াঘাটের ভাতছালা গ্রামের আব্দুর রহমান সরকারের ছোট ছেলে তিনি।
এ দুই স্টেডিয়াম নির্মাণে কাতার বিশ্বকাপের ইতিহাস হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের মাসুদ রানা।
২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পাড়ি জমান মাসুদ। ২০১৯ সালে কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে যোগ দেন ঘোড়াঘাটের এই বাসিন্দা।
সে সময় স্টেডিয়াম দুটির পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। তিনি কর্মচারী-কর্মকর্তাদেরকে আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত গাড়ির প্রধান চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাসুদ রানা বর্তমানে কাতারের হামাদ বিন খালিদ (এইচবিকে) কোম্পানিতে চাকুরি করেন। ‘লুসাইল’ ও ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়ামটিতে ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে দায়িত্ব পায় কাতারের এইচবিকে কোম্পানি। এ কোম্পানির প্রধান চালক মাসুদ রানা।
মাসুদ রানা কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছেন। স্টেডিয়াম নির্মাণের নানা অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণের অনেক স্মৃতি আমার হৃদয়ে আজীবন গাঁথা থাকবে। এ ছিল স্বপ্নের মতো। কত বড় বড় তারকা খেলবেন বিশ্বকাপের এ দুই মাঠে। এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে, এমন এক কাজে একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমার হাতের ছোঁয়া আছে। বিশাল একটা বিশ্ব ইভেন্টে কাজ করতে পারাটাও অনেক গর্বের ব্যাপার।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ‘লুসাইল’ স্টেডিয়ামটিতে উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ সহ মোট ১০টি খেলা হবে। স্টেডিয়ামটিতে ৮০ হাজার দর্শকাসন রয়েছে।
অপরদিকে ‘আল জানিয়্যুব’ স্টেডিয়ামে মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নৌকার অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এসএএইচ