ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সেই কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সেই কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

গাইবান্ধা: পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চলমান কাঠ-গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সেই কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এসময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রথমে কারখানার ৭টি চুল্লির আগুন পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে দেন। পরে এস্কেভেটর দিয়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপপরিচালক হাসন-ই-মোবারক। তার সঙ্গে ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান নয়ন।

অবৈধভাবে চলমান ওই কারখানার চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় এদিকে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। অন্যদিকে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করেন। যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি রাউন্ডে ২শ থেকে ৩শ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। পোড়ানো কয়লা ঠাণ্ডা করে ব্যবসার উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে একদিকে এলাকায় শ্বাসজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে উঠতি ফসলের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। অবিলম্বে অবৈধ এসব কারখানা বন্ধের জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।

এ ব্যাপারে গত ১৫ নভেম্বর বাংলানিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সে সময় অবৈধ ওই কাঠ-কয়লার কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন পলাশবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন।

লিঙ্ক: https://www.banglanews24.com/national/news/bd/989314.details

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে গত ২ নভেম্বর জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর জীবনপুর ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় অবৈধ কাঠ-কয়লার ৯টি কারখানা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।