মেহেরপুর: গাংনীতে পৃথক দুই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৮টি জেলার ডাকাত সর্দারসহ ছয় ডাকাতকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর আমলী আদালতের (গাংনী) বিচারক তারিক হাসানের আদালতে শুনানি শেষে ছয় ডাকাতকে পৃথক দুটি ডাকাতির মামলায় দুইদিন করে মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের দুটি ডাকাতি মামলায় সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডাকাতরা হলেন- ৮টি জেলার ডাকাত দলের সর্দার কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ডাঙ্গীপাড়া এলাকার আলতাফ মণ্ডল (৬০), সদর উপজেলার বোয়ালদহ গ্রামের অক্ষর মণ্ডলের ছেলে সোহেল হোসেন (৩৫) ও মিরপুর উপজেলার নওদা পাড়া গ্রামের তাছের বিশ্বাসের ছেলে শাহাজামাল (৩৪), মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে তরিকুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের হামিদ মালিথার ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), শিবপুর গ্রামের মুকুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকন ওরফে প্রতীক (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ওরফে মনা বাগের ছেলে সালাউদ্দীন (৪০)।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দেবিপুর-কল্যাণপুর মাঠে ডাকাতির ঘটনায় প্রথম দফায় সব ডাকাতদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত শাহাজামালের কাছে থাকা স্থানীয় একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে শাহাজামালের নামে কুষ্টিয়া মিরপুর, রাজবাড়ি সদর ও কালুখালি, গাংনী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আলতাফ হোসেন মণ্ডল আশপাশের ৮টি জেলার ডাকাত সর্দার বলে জানা গেছে।
ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ি সদর থানা, কালুখালি থানা, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা ও গাংনী থানায় চুরি, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামালা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতরা বাকি পাঁচজন সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
গাংনী উপজেলার তিনটি স্থানে ডাকাতির ঘটনায় (১৫অক্টোবর) পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাইবার ক্রাইম অপরাধ বিভাগ, সদর ও গাংনী থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামকে গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকি পাঁচজন আসামিকে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক যার নম্বর কুষ্টিয়া ন—১১—০২৯৩, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির ছয়টি মোবাইল ফোন, তিনটি রামদা উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়:১৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এসএম