ঢাকা: আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সময় চার আসামিকে একজন পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব কথা বলেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণের বই বিক্রেতা মো. নিজাম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার দুপুরে কোর্ট এলাকার জনসন রোডে তেমন জ্যাম ছিল না। ওই ভবনের ৮ তলা থেকে নামিয়ে আনা হয় আসামিদের। কোর্টের মূল ফটকের সামনে এলেই আসামিরা পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে মেরে ও আঘাত করে দুই জঙ্গি পালিয়ে যান। কিন্তু পালাতে ব্যর্থ হন বাকি দুই আসামি।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের হ্যান্ডকাপ করা ছিল। তাদেরকে কোনো ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হয়নি। মূল ফটকের বিপরীত পাশের রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান দুই জঙ্গি। পালানোর আগে পিপার স্প্রে মারা হয় কোর্টের দারোয়ানের চোখেও।
এর আগে, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিরা আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এমএমআই/এসআইএ