ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাহজাহানপুরে নিজ বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
শাহজাহানপুরে নিজ বাসা থেকে গৃহবধূর  লাশ উদ্ধার

ঢাকা: রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মুনিয়া বেগম (২৪) নামে এক  গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে শাহজাহানপুর থানার পুলিশ ওই বাসায় যায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উদ্ধার করে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাকিম জানান, খবর পেয়ে বিকেলে উত্তর শাহজাহানপুর গাজির বস্তির একটি বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় ওই তাকে বিছানায় শায়িত অবস্থায় পাই।
 
তিনি জানান,প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মৃতের স্বামী পিকআপ চালক মনির হোসেন  বলেন, বেলা ১১টার দিকে কাজে চলে যাই। বিকেল ৩টার দিকে বাসায় এসে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পাই। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনোন সাড়াশব্দ পাইনি। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়।

এদিকে মৃতের খালা কোহিনুর বেগম জানান, মুনিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার গ্রামের বাসিন্দা । বর্তমানে স্বামী মনির হোসেন ও তিন সন্তান নিয়ে উত্তর শাহজাহানপুর গাজির বস্তিতে থাকতো। মুনিয়া বাসা বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো।

তিনি আরও জানান, মোবাইলে কোনো এক ছেলের সঙ্গে কথা বলতো মুনিয়া। এনিয়ে রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এবং মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। পরে কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খায়। সকালে মুনিয়াকে ঘুমন্ত রেখে কাজে চলে যায় তার স্বামী। বিকেল ৩টার দিকে বস্তির বাসায় ফিরে এসে দেখে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেখে মুনিয়া ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না দিয়ে ঝুলছে। স্বামী মনির নিজেই ওড়না কেটে মরদেহ নিচে নামায়। আমাদেরও ধারনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মুনিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।