কিশোরগঞ্জ: ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালানোর ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলাজুড়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালত ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্ব অফিস এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
রুটিন কাজ ছাড়াও তাদের অভিযান ও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের সব থানা এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বাহিনীটির সদস্যরা। সবকিছুই তাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
সন্দেহজনক ব্যক্তি ও যানবাহনগুলোকে তল্লাশির আওতায় আনা হয়েছে। আন্তঃজেলা সীমান্ত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জের হাওরের সঙ্গে পানিপথে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণার যোগাযোগ থাকায় সেদিকেও খেয়াল রাখছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বাংলানিউজকে জানান, আইজিপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক কিশোরগঞ্জে নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। এ নিয়ে সব থানা এলাকায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. মির্জা কাউসার নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কাউসারের বিরুদ্ধে। সেই সংগঠনের অর্থদাতা হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি।
ডা. মির্জা কাউসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। এরপর তিনি এখানেই ইএনটির চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কয়েক মাস আগে এ মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার স্ত্রীও একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক।
ডা. মির্জা কাউসার কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের মির্জা আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন।
তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে রটেছিল। তবে এখন জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে চলে আসায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রোববার ঢাকার আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
আরএইচ