ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, ডিপার্টমেন্ট অব সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গিলেস মিশউড, জাতিসংঘের মিলিটারি অ্যাডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টারা (মিলিটারি অ্যাডভাইজর) অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান আসা অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পরে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আসা অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং সবাইকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখেরও বেশি নির্যাতিত নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ সময় তিনি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং সর্বোপরি দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তারা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
টিআর/আরবি