ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পলাতক ৮৩

আত্মস্বীকৃত ১০১ ইয়াবা কারবারির মামলার রায় বুধবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
আত্মস্বীকৃত ১০১ ইয়াবা কারবারির মামলার রায় বুধবার ফাইল ছবি

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করা ১০১ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশের দুইটি মামলার রায় আগামীকাল (২৩ নভেম্বর) ঘোষণা হবে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলাগুলোর রায় ঘোষণা করবেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামীকাল কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। তাদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এদিকে মামলাগুলোর ১৮ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক আছেন বাকি ৮৩ জন। এদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন- সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির চার ভাই (আব্দুল আমিন, আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান); ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু; চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলম। আরও আছেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ ও তার বড় ভাই আব্দুর রহমান; বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের ছেলে দিদার মিয়া; টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ; টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এনামুল হক এনাম মেম্বারসহ অনেকে।

এদিকে আত্মসমর্পণ করা আসামিদের মধ্যে যাদের জামিন বাতিল করা হয়েছে তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিমের কাছে। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আদালতের কোনো আদেশ হাতে আসেনি। আদালতের আদেশ পেলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

যদিও মামলাগুলোর সর্বশেষ শুনানির দিন অনুপস্থিত থাকায় আদালত ৮৪ জনের জামিন বাতিল করেন।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সরওয়ার কামাল বলেন, গত ১৭ নভেম্বর থেকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান জহির আহমেদ বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। একমাসের অধিক সময় যদি তিনি অনুপস্থিত থাকেন, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেওয়ার খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই তাদের আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলা দায়েরের দিনই আদালতের মাধ্যমে আসামিদের
গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ-এর আদালতে ১০১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

পরে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন। গত ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এসবি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।