ফেনী: ফেনীর বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে বিশেষ ক্ষমতা আইনের এক মামলায় সাংবাদিক এস এম ইউসুফ আলীকে সোমবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইউসুফ দৈনিক অধিকার এর ফেনী ব্যুরো চিফ এবং অনলাইন পোর্টাল ফেনী রিপোর্ট এর সম্পাদক দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা হয়। এ নিয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইউসুফ আলীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠায় পুলিশ।
ইউসুফ আলীর মামলার কৌঁসুলি এম শাহজাহান সাজু জানান, ফেনীর সাবেক পুলিশ সুপার প্রতিসিংসাবসশ ২০১৯ সালে সাংবাদিক ইউসুফ আলীসহ চারজন সাংবাদিককে জেলার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় হয়রানিমূলকভাবে চার্জশিটে যুক্ত করেন। এসব মামলার এজাহারে তাদের কারোই নাম ছিল না। পরবর্তীতে সবকটি মামলায় তারা জামিন লাভ করে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। ছাগলনাইয়া থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় ভুলক্রমে হাজিরা দিতে না পারায় ইউসুফ আলীর জামিন বাতিল হয়। পুলিশ সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে গ্রেফতার করে থানায় নেয়।
এদিকে ইউসুফ আলীর গ্রেফতারের খবরে ফেনীতে গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল দুপুরে দাগনভূঞা থানা পুলিশ তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানান।
সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে এভাবে ধরে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা ন্যক্কারজনক। এটা সাংবাদিকতা পেশার প্রতি অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।
এদিকে সাংবাদিক ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে রশি বেঁধে আদালতে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বাংলানিউজকে বলেন, কোমরে রশি বেঁধে আনার বিষয়টি তার অগোচরে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়মানুযায়ী গ্রেফতার সাংবাদিককে আদালতে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এসএইচডি/আরআইএস