মৌলভীবাজার: বড়লেখায় ইলেক্ট্রিশিয়ানের সহকারীর কাজে নিয়ে হতদরিদ্র এক কিশোরকে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল আহমদ ও তার সহযোগী কয়ছর আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরের পরিবার।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, আসামী কয়ছর আহমদ ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করে। বোরবার সন্ধ্যায় সে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে সহকারী হিসেবে এক জায়গায় কাজে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম কিশোর ২০০ টাকা পারিশ্রমিকের আশায় কয়ছরের সাথে কাজে যায়। কয়ছর আহমদ তাকে লম্পট রাসেল আহমদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে বলে ‘তুমি তার সাথে যাও, সে কাজ করাবে। পরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাড়ির লোকজনকে ঘটনাটি জানায়।
সোমবার রাতে ভিকটিম কিশোরের বাবা ধর্ষক রাসেল আহমদ ও তার সহযোগী কয়ছর আহমদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। রাতেই শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর রবিউল হকের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, মামলা দায়েরের পরই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কিশোর ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকেই গ্রেফতার করেছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসএম