ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন

পলাতক জঙ্গিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
পলাতক জঙ্গিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যায়

ঢাকা: ঢাকার আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যায় বলে মনে করছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

তিনি বলেন, ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশে পুলিশ ইউনিট ও বর্ডার নিয়ন্ত্রণে যারা রয়েছেন তাদের সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে দুই জঙ্গি পালিয়েছে তাদের ছবি প্রতিটি থানায় পাঠানো হয়েছে।

ডান্ডাবেড়ি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো এড়ানোর জন্য সবাইকে সমন্বিত করে একটা জায়গায় আনার চেষ্টা চলছে।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে ছিটিয়ে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার পরিকল্পনায় এ ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেফতার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিরা প্রায় মোবাইলফোনে যোগাযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

প্রথমে ত্রিশালের জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো প্রিজনভ্যানে হামলার করে সহযোগীদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে কাশিমপুর থেকে পুরান ঢাকায় আদালত পর্যন্ত আনা-নেয়ার সময় প্রিজনভ্যানে হামলা করাটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাদের।

তাই তুলনামুলক কম নিরাপত্তা থাকায় ছিনতাই অপারেশনের স্পট হিসেবে বেছে নেয় আদালত প্রাঙ্গণকে। আর অপারেশনে জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিলো সহযোগীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
পিএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।