জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে দু’পাশে সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ সড়ক) না থাকায় ৮ বছর ধরে অচল হয়ে সঙ্গীহীন অবস্থায় পড়ে আছে একটি ব্রিজ। ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্র মতে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক তদারকিতে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মসজিদ পাড়া-দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা রাস্তায় ছোট খালের উপর ৩০ ফুট একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের পর এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটতে থাকে।
কিন্তু নির্মাণের এক বছর পর ২০১৬ সালের বন্যায় ব্রিজের দু’পাশের অ্যাপ্রোচ ভেঙে মাটি শূন্য হয়ে পড়ে। ব্রিজের দু‘পাশে মাটি না থাকায় আগের মতো দুর্ভোগে পড়েন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ২০১৬ সালের পর থেকে অচলাবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্রিজটি। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাটি ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মসজিদপাড়া খালের ওপর ব্র্রিজটি বর্তমানে কোনো কাজে আসছে না। এই ব্রিজটি এখন শুধু মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েও তেমন কোনো ফল পাচ্ছেন না।
এলাকাবাসী জানান, বর্ষা এলেই প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) বা জরুরি কাজে যেতে হয় এলাকাবাসীকে।
সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জোনাকী আক্তার বাংলানিউজকে জানায়, সে সহ অনেত শিক্ষার্থীকে দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে যেতে হলে এই খালের ওপর দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ব্রিজটি সচল না থাকায় বন্যা বা বর্ষার দিনে তাদের অনেক কষ্ট করে চার কিলোমিটার ঘুরে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। তাই ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জোনাকী।
একই এলাকার শিক্ষার্থী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাদরাসায় যেতে হলে বর্ষাকালে গামছা পড়ে এই খাল পার হতে হয়। বছরের বেশির ভাগ সময় আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে কষ্ট করতে হয়।
দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক ছাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নানা কারণে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ, সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় ও সাধুরপাড়া দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে হলে এই খালের ওপর দিয়ে যেতে হয়। ব্রিজের অ্যাপ্রোচ বা মাটি ভরাট না করায় আমরা সময় মতো সব কাজ করতে পারি না। তাই জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে মাটি ভরাট করে ব্রিজটি সচলের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মজনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচি বা কাবিখার বরাদ্দ দিয়ে জনগণের জন্য রাস্তাটি সচল করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসআরএস