ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য চলাকালে ১৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য চলাকালে ১৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

হবিগঞ্জ: অ্যাসেম্বলি চলাকালে শিক্ষার্থীদের পৌনে ১ ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে রেখে বক্তব্য দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা। আর এ বক্তব্য শুনতে গিয়ে অসুস্থ হয় ১৭ শিক্ষার্থী এখন হাসপাতালে ভর্তি।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টার ঘটেছে এ ঘটনা।  

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ৩ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল ও বাকীদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

অসুস্থ ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন নবম শ্রেণির, ৪ জন অষ্টম শ্রেণির ও ২ জন ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা হলেন - তাহমিনা, মারিয়া, আন্তরা, মুক্তা, বৈশাখী, মীম, মিতু, ঊষা, ঝুমা, প্রমি, রূপালী, তানিয়া, দীপা, নিপা ও নদী।  

শিক্ষার্থীদের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদা জান্নাত বাংলানিউজকে বলেন, তাদের প্রচণ্ডরকমের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অনেকের চোখ টনটন ব্যথা করছে। তবে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন সুস্থতার দিকে। তিনজনকে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।

কেন এভাবে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ল সে বিষয়ে  এ চিকিৎসক বলেন, একসঙ্গে এভাবে অনেকগুলো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ম্যাস হিস্ট্রোরিয়া’ বলা হয়। আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর অসুস্থতার মূল কারণ জানা যাবে।  

অসুস্থ শিক্ষার্থী ঝুমার মা মুর্শেদা খাতুনের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদেরকে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে রোদে দাঁড়িয়ে রেখে কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখছিলেন। এজন্য তারা অসুস্থ হয়েছে।  

একই অভিযোগ অপর এক শিক্ষার্থীর আত্মীয় ডাঃ মঈনুল হাসান শাকীলের।

অভিভাবকদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।  
তার দাবি, রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে নয়; সকাল বেলা খালি পেটে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ নুনু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মাঠে অ্যাসেম্বলি শুরু হয়। বুধবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা বলছিলেন। সেজন্য শিক্ষার্থীরা অন্যদিনের তুলনায় ১৫ মিনিটি বেশি সময় রোদে দাঁড়ানো ছিল। সকাল ১১টার দিকে একজন ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আরও ১৬ জন ছাত্রী একইভাবে অসুস্থ হলে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।