ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিশ্বের সব ভাষাকেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
‘বিশ্বের সব ভাষাকেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে’

ঢাকা: পৃথিবী থেকে অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে আমরা সব ভাষাকেই বাঁচিয়ে রাখতে চাই।

কেননা পৃথিবীতে ভাষা বৈচিত্র্য থাকলে পৃথিবীও সমৃদ্ধ হবে।  

বুধবার (২৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) আয়োজিত এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘ভাষা জরিপ ও মাঠ সমীক্ষা’-শীর্ষক এ জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে আমাই। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।

এতে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।  

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই)-এর পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও প্রশিক্ষণ) মো. আজহারুল আমিন।

আমাই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট দেশে-বিদেশে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে তথ্য ও জ্ঞান পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এটা আমি বিশ্বাস করি। আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। বাঙালি জাতির মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, সেই কারণে প্রতিটি জাতির গোষ্ঠীর প্রতি আমাদের সহমর্মিতা অন্য কারও চেয়ে বেশি থাকা উচিত। কারণ আমার মাতৃভাষার প্রতি আঘাত আসার পর আমি বুঝেছি, আমার হৃদয়ে কেমন লেগেছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে মাতৃভাষা রক্ষার জন্য। আমরা সব দেশের মাতৃভাষার জন্য, সব জাতির জন্য, সবার মাতৃভাষাকে রক্ষা করবো।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ। বলেন, পৃথিবীতে যত বৈচিত্র থাকবে ততই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন শত ফুল ফুটতে দাও, সুতরাং ভাষা হচ্ছে বৈচিত্রের যে অংশ, মানুষের যে সৃষ্টিশীলতা, মানুষের যে শ্রেষ্ঠত্ব তার অংশ হচ্ছে ভাষা। সুতরাং ভাষা বেঁচে থাকবে সেটি হচ্ছে একটি সত্য, সেই সত্যকেই উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধু বাংলা নয়, সারা পৃথিবীর যে ভাষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সেই ভাষাগুলো সংরক্ষণ করা।

জাতীয় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের ডর্টমথ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড অগাস্ট পিটারসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক নায়রা খান, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা রাসেল, মাধ্যামিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাহেদুজ্জামান।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির।  

সেমিনারে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমাই কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
টি আর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।