ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বিমানবন্দর এলাকায় অচল এস্কেলেটর, যাত্রীদের ভোগান্তি

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
বিমানবন্দর এলাকায় অচল এস্কেলেটর, যাত্রীদের ভোগান্তি

ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজে এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) থাকলেও প্রায় সারাক্ষণই বন্ধ থাকে সেটি।

কখন চলে, কখন বন্ধ হয়, কী কারণেই বা বন্ধ, কেউই জানে না। ফলে, সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন বিমানবন্দরগামী হাজারো যাত্রী এবং পথচারী।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দিনভর অপেক্ষা করে সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে। এতে বিমানবন্দরের আগমন এবং বহির্গমন এলাকার যাত্রীরা সঙ্গে থাকা ভারী মালামাল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

তেমনই একজন দুবাইগামী যাত্রীহযরত আলী। বিকেল ৪ টায় তার ফ্লাইট। থাকেন দুবাইয়ের শারজাহতে। বাড়িতে এসেছিলেন ৬ মাসের ছুটিতে। স্বভাবতই সঙ্গে ছিল ভারী ব্যাগ। সেটি মাথায় নিয়ে এস্কেলেটর দিয়ে হেঁটে উঠছিলেন তিনি। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কী বলবো ভাই, সারা বছর তো দেশের বাইরে থাকি। কত সুযোগ-সুবিধা সেখানে। অথচ, এখানে দেখেন বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এস্কেলেটর নষ্ট। মালামাল টেনে নিয়ে ওঠা খুব কষ্টের। মাঝখানে আবার সড়ক ডিভাইডার দেওয়া। ফাঁক গলে রাস্তা পার হবো, সে উপায়ও নেই। এগুলো কি দেখার কেউ নেই? 

এ সময় বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা সোলাইমান হোসাইন নামে অপর একজনের সঙ্গে কথা হয়। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাই মাসে-মাসে। সে টাকায় এত অবকাঠামো নির্মাণ হয় দেশে। অথচ, ফুটওভার ব্রিজটার সিঁড়ি নষ্ট। ঠিকঠাক থাকলে এই মালামালগুলো নিয়ে একটু আরামে রাস্তা পার হতে পারতাম।

আরেক পথচারী মো. শোভন সোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, এই সিঁড়িটা নষ্ট হওয়ায় মানুষ ঝুঁকি নিয়েই ডিভাইডারের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পার হয়। এতে ঝুঁকিও বাড়ে। মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনায় আহত হন অনেকে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাঈম রায়হান খান বলেন, রাজধানীর বিমানবন্দরে ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশের এস্কেলেটরটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে। পথচারীদের ভোগান্তি যেন না হয় সেটি বিবেচনায় সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি মেরামতের পদক্ষেপ নিয়েছি। মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশটি দেশের বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে এজন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি মেরামত করে জনগণের ব্যবহারের জন্য চালু করে দিতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২ 
এমকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।