ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নাগরিক সংলাপে বক্তারা

চা শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
চা শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল

ঢাকা: চা শ্রমিকদের মজুরি, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের চা শ্রমিকেরা সবচেয়ে কম বেতন পান।

এ ছাড়াও তাদের যেসব জনসেবা দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশের চা বাগানের শ্রমিকেরা কেন পেছনে পড়ে আছে?’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। সংলাপের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, ইউএন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি গুইন লুইস, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন ও চা শ্রমিক চা শ্রমিক খায়রুন্নাহার।

সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে চা বাগানের শ্রমিকেরা পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। যদিও চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি ও আনুতোষিক সমন্বয়ের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।  

সংলাপে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, চা শ্রমিকদের মানুষই  মনে করা হয় না। যদি আমাদের মানুষ মনে করা হতো, তাহলে ৩০০ টাকা মজুরি দেওয়া হতো। আমরা ৩০০ টাকার জন্য আন্দোলনে নেমেছিলাম। আমাদের দেওয়া হয়েছে ১৭০টাকা।  দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, তাতে ১৭০ টাকায় কিছুই হয় না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমাদের ৫০০-১০০০ টাকা মজুরি দিলেও লাভ হবে না।

তারা বলেন, মালিকপক্ষ থেকে বলা হয় আমাদের নাকি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো কী, সে বিষয়ে আমরা নিজেরাও জানি না। তারা যে চিকিৎসা সুবিধার কথা বলে থাকেন, সেখানে শুধু প্যারাসিটামল ওষুধ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। যখন কোনো শ্রমিক অসুস্থ হন, তখন চা পরিবহন ট্রাক্টরের সাহায্য নিয়ে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।  অ্যাম্বুলেন্সও কপালে জোটে না। আমাদের কারণে আপনারা (মালিকপক্ষ) কোট-টাই পরে বসে আছেন, অথচ আপনারা চাইলে প্রতিটি চা বাগানে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারেন।

আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখন শিক্ষিত হচ্ছে। অথচ তারা কোথাও কোনো ভালো চাকরি পাচ্ছে না, তারা উল্লেখ করেন।

নারী চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, চা বাগানে নারী শ্রমিক ৮০ শতাংশেরও বেশি। তারা সারাদিন বাগানে কাজ করে। অথচ বাগানে কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। ফলে সেখানে নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া গর্ভকালীন ছুটিসহ অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ 
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।